Wednesday, 31 December 2014

           আঁধার কথা বলে

বাঁশবাগানের পাতার ফাঁকে, সোনার রবি উঠিছে
তারই আলোয় ঝলমলিয়ে, বিশ্বভুবন হাসিছে
টেবিলে রাখা সংবাদপত্র, গরম চায়ের কাপ,
ঘড়ির কাঁটা ঘড়িতে বাঁধা, সময় যে চুপচাপ

পসরা মাথায় চলেছে সবাই, রবিবারের হাটে,
সাদা বলাকা উড়ায় পাখা, শূণ্য নির্জন মাঠে
ছায়া সুনিবিড়, প্রাচীন বট এক, গাঁয়ের সীমানায়,
তাহারি শাখায়, সুখে নীড় বাঁধি, পাখিরা গান গায়

চিল ফুকারে, আকাশ পারে, মাঠে মাঠে সোনা ধান,
মেঠো পথে একতারা হাতে, বেণী বাউল গায় গান
গরুর গাড়ি উড়ায় ধূলো, গাঁয়ের রাঙা মাটির পথে,
রাখাল বাজায় রাখালিয়া সুর, বাঁশি লয়ে নিজ হাতে

মাটির কুটিরে কাঠের ধোঁয়া, ঘুরে ফিরে পাড়াময়

দিনের শেষে সূর্য লুকায়, সাঁঝের আঁধার কথা কয়


      শীতের রাতি জাগে

খোলা আকাশ মাথার উপর, পায়ের নীচে মাটি
তারই পরে সোনালি রোদ, সেজেছে পারিপাটি
পূবের আকাশে সূর্যটা দেখি, লাল হয়ে উঠে,
দিঘির জলে পদ্ম শালুক, উঠেছে কত ফুটে
আকাশ জুড়ে  সুরের মেলা, পাখিরা গায় গীত
উত্তরে হিমেল হাওয়া বয়, এলো আজ শীত
শীতের চাদর জড়িয়ে গায়ে, নেমে আসে কুয়াশা,
আকাশ বাতাস, মাটি ও গাছ, দেখায় সবই ধোঁয়াশা
গরম চায়ের কাপে, চুমুক দিতে আরাম লাগে,
কাঁথা মুড়ে ঘুমায় শহর, শীতের রাতি জাগে



















             আঁধার কথা বলে

বাঁশবাগানের পাতার ফাঁকে, সোনার রবি উঠিছে
তারই আলোয় ঝলমলিয়ে, বিশ্বভুবন হাসিছে
টেবিলে রাখা সংবাদপত্র, গরম চায়ের কাপ,
ঘড়ির কাঁটা ঘড়িতে বাঁধা, সময় যে চুপচাপ

পসরা মাথায় চলেছে সবাই, রবিবারের হাটে,
সাদা বলাকা উড়ায় পাখা, শূণ্য নির্জন মাঠে
ছায়া সুনিবিড়, প্রাচীন বট এক, গাঁয়ের সীমানায়,
তাহারি শাখায়, সুখে নীড় বাঁধি, পাখিরা গান গায়

চিল ফুকারে, আকাশ পারে, মাঠে মাঠে সোনা ধান,
মেঠো পথে একতারা হাতে, বেণী বাউল গায় গান
গরুর গাড়ি উড়ায় ধূলো, গাঁয়ের রাঙা মাটির পথে,
রাখাল বাজায় রাখালিয়া সুর, বাঁশি লয়ে নিজ হাতে

মাটির কুটিরে কাঠের ধোঁয়া, ঘুরে ফিরে পাড়াময়
দিনের শেষে সূর্য লুকায়, সাঁঝের আঁধার কথা কয়


















হৃদয়ের ফুল (কবির একশত পঞ্চাশতম কবিতা)

ভোরের আলো উঠলো ফুটে, ফুটলো কত ফুল,
কদম্ব কেতকী, মালতী যুঁথী, ফুটেছে গোলাপ বকুল
শিউলি টগর, সাদা বক ফুল, ফুটেছে নয়নতারা,
কলকে ও গাঁদা, কাশফুল সাদা, নয়ন মনোহরা
ফুটেছে কুঁড়ি, মেলেছে পাপড়ি, ফুটেছে অপরাজিতা,
শত সূর্যমুখী, রক্ত করবী, ফুটেছে মাধবী মালতী হেথা
দিঘির জলে পদ্মশালুক, মাঠে মাঠে পলাশ ধুতুরা,
ফুলের গন্ধে মেতেছে পবন, শোভায় ভুবন ভরা
হৃদয়ে আমার ফুলের বাহার, ফুটেছে হৃদয় কমল,
কবিতার পাতায় ফুটেছে হেথায়, ভালবাসার শতদল
হৃদয় বীনায় মনের তারে, বেজে ওঠে যে সুর,
সেই সুরে মোর কণ্ঠের গান, হয়ে ওঠে সুমধুর
উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে, আজও সেই সুর বাজে
হৃদয়ের ফুল ফুটুক এবার, সবার হৃদয় মাঝে


























Sunday, 28 December 2014


ক্রিসমাস ডে

ক্রিসমাস বড়দিন বর্ষে বর্ষে আসে।
পঁচিশ তারিখ এলে ডিসেম্বর মাসে।
ক্রিসমাস ট্রি সাজানো খোলা বারান্দায়,
দামী দামী কেক কাটে মজা করে খায়।

রঙিন বেলুন কত উড়িছে চৌদিকে,
শিশুগণ সুসজ্জিত, সুন্দর পোষাকে।
ঝোলা কাঁধে স্যান্টাক্লজ, উপহার হাতে,
শিশুদের সাথে মিশে, আনন্দেতে মাতে।

একে একে সবাকারে দেয় উপহার,
ক্রিসমাস বড়দিনে খুশির জোয়ার।
সু-সমাচার, বাইবেল, উপহার নানা,
গীর্জাতে গীর্জাতে হয় যীশুর প্রার্থনা।


পরমপিতা প্রভু যীশু, ঈশামসীহ নাম,
তাঁর সৃষ্ট  চন্দ্র, সূর্য আর ধরাধাম।
এসো ভাই সবে মিলে, এই গান গাই,
জাতে খ্রিস্টান হলেও, মোরা ভাই ভাই।

English poem for Jesus Christ

We are for the Lords,
Not for others,
We are for the Lords,
And so for others.         (Sree Sree Thakur)

 हिन्दी कविता यीशुख्रीष्ट के लिए
हमें यीशु के लिए,
दुसरों के लिए नहीं।
हमें यीशु के लिए,
इसलिए सभी के लिए।          (श्री श्री ठाकुर)

বাংলা কবিতা যীশুর তরে
মোরা প্রভু যীশুর তরে,
নই মোরা অন্যের তরে,
মোরা শুধু তাঁরই তরে,
তাই সবাকারই তরে।                   (শ্রী শ্রী ঠাকুর)

অসমীয়া কবিতা যিশুৰ বাবে

আমি যিশুৰ বাবে
আনজনৰ বাবে নহয়,
আমি কেৱল যিশুৰ বাবে
এতিয়া সকলোৱে যিশুৰ বাবে।     (শ্ৰী শ্ৰী ঠাকুৰ)

ଓଡ଼ିଆ କବିତା ଯୀଶୁ ପାଇଁ

ଆମେ ଯୀଶୁର ପାଇଁ
ଅନ୍ୟ ପାଇଁ ନୁହେଁ,
ଆମେ ଯୀଶୁର ପାଇଁ
ଏବଂ ସଭିଁଏ ପାଇଁ           (ଶ୍ରୀ ଶ୍ରୀ ଠାକୁର)












নদীর গান (লোককবিতা ও লোকগীতি)

নদীরে... ...ওরে নদী রে!
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে

গ্রীষ্মে জল থাকে না, নদী শীর্ণকায়,
মানুষজন হাঁটুজলে, পার হয়ে যায়

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে

বর্ষায় আসে জোয়ার, উথাল পাথাল পানি,
মাঝ দরিয়ায় উঠলে তুফান, ডুববে তরীখানি

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে
  নদীরে... ...ওরে নদী রে!

শরতের সোনালী রোদ, পড়ে নদীর কূলে,
দুই ধারে কাশের বন, ভরা কাশফুলে

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে
নদীরে... ...ওরে নদী রে!

হেমন্তে নদীর কুলে হিমেল হাওয়া বয়,
নদীর জলে রাতের জোছনা শীতল হয়ে রয়

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে
নদীরে... ...ওরে নদী রে!

পৌষমাসের শেষে মেলা, বসে নদীর কূলে
সংক্রান্তিতে মকরস্নান, শীতের সকালে

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে
নদীরে... ...ওরে নদী রে!

বসন্তে বনে ফুল ফোটে, মনে রং ধরে
একা নদী বসে কাঁদে, নদীর বালুচরে

কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
( তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে
নদীরে... ...ওরে নদী রে!