Sunday, 21 February 2016


পৃথিবীর পান্থশালা

জীবনের এই পান্থশালায়, কেহ আসে কেহ যায়,
কেউবা হাসে, কেউবা কাঁদে, পৃথিবীর পাঠশালায়।
ঊষর মরুর তরুর ছায়ে, আশায় বাঁধি যে খেলাঘর,
জীবননদীর ঘুর্নিপাকে, সে তো চোরা বালির চর।

জীবনখাতার পাতায় বিধি, লিখে গেছে সুখ ও দুখ,
কেউবা থাকে অট্টালিকায়, কারো হেরি মলিন মুখ।
ভবের হাটে খেলতে এসে, গেলাম হেরে অবশেষে,
সারাজীবন কাটলো দুখে, মানুষেরে শুধু ভালবেসে।

কান্নাহাসির লুকোচুরি হেরি, জীবন নদীর কিনারায়,
শেষের দিনে, চিতার আগুনে, জ্বলে পুড়ে হয় ছাই।
ভাঙাগড়ার খেলা চলে, বিধাতার এই খেলাঘরে,
জীবননদীর বালুচরে, জীবন ও মরণ খেলা করে।

জীবনের এই নাট্যশালায়, সবকিছুই শুধু অভিনয়,
জন্ম হলেই মরতে হবে, ভবের সংসার মায়াময়।

জীবন নদীর তটে
অশ্রু ঝরা কান্না নিয়ে
গড়ে ওঠে আশার প্রাসাদ,
প্রবল ঝড়ে উড়ে গিয়ে,
ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদ।

আকাশ যদি ভেঙে পড়ে,
বিনা মেঘে হয় বজ্রপাত।
অন্ধকারে কেঁদে মরে,
আঁধারভরা মায়াবী রাত।

শ্মশান চিতায় ঝলসে ওঠে
মৃত মানুষের সারি।
ভাসে আজও হৃদয়পটে,
ভুলতে কভু কি পারি?

এ জীবন নিশার স্বপন,
ভালবাসা শুধুই অভিনয়।
অশ্রুজলে ভরে নয়ন,
প্রতি নিঃশ্বাসে ঝড় বয়।