গাঁয়ের কবিতা সকাল সাঁঝে
আমার গাঁয়ে ছোট ছোট ঘরে থাকি সবে মিলে
মিশে,
সামনে দিয়ে বইছে নদী গাঁয়ের মেঠো জমি
ঘেঁষে।
তাল পাকুড় ও খেজুরের গাছে কত পাখি
বাঁধে বাসা,
জোয়াল কাঁধে জোড়া বলদ নিয়ে লাঙল চালায়
চাষা।
মাঝে মাঝে দেখি লাফায় ফড়িং উঠোনের
কচি ঘাসে।
ময়না শালিক,
কভু বনের টিয়া সেথা দল বেঁধে আসে।
ঘোষাল পাড়ার পুকুর পাড়ে, ফিঙে পাখি এসে চরে,
ঢিল ছুঁড়ে মেরে ছেলেরা, আম পাড়ে সারাদিন ধরে।
নদীর ধারে কাঁটা কুলের
গাছ, পথ চলে গেছে বাঁকা,
আকাশতলে উড়ে যায় চিল, মেলে দিয়ে তার পাখা।
দিনের শেষে লাল সূর্য ডোবে, দুরে নীলপাহাড়ের গায়ে,
আঁধার রাতে ডেকে ওঠে পেঁচা জোড়া বটতলার বাঁয়ে।
মাঝ রাত হলে ডেকে ওঠে শেয়াল হুক্কা হুয়া রবে।
আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকি, কখন সকাল হবে?